Breaking News

মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্য কিছু প্রাথমিক জ্ঞান…

By on ৮:৩৭ PM

                ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্য কিছু প্রাথমিক জ্ঞান….

সালাম ও শুবেচ্ছা জানায় সকল পাঠকবৃন্দ ও টিজে ভাইদের এবং তার সাথে সাথে শুরু করছি আজকে টিউন… আজকের টিউনটি তাদেরই উপকারে আসতে পারে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে..তারপরে ও উম্মুক্তভাবে দিচ্ছি সবাই জেনে রাখতে পারেন হয়তবা এখানের কোন একটি প্রশ্ন MCQ আকারে যে কোন প্রতিযোগিতা পরীক্ষায় আসতে পারে বিশেষ করেডুয়েট,বুয়েট,চুয়েট,কুয়েট,রুয়েট আরো অন্যান্য সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে সুতারাং চলুন তাহলে শুরু করা যাক…………..
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের জন্য কিছু প্রাথমিক জ্ঞান:-
**ওহমের সূত্র:- স্থির তাপমাত্রায় কোন সার্কিটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট ঐ সার্কিটের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক অর্থাৎ V∞I  বা  V=IR ।
**কারেন্ট:- পরিবাহির মধ্যদিয়ে ইলেক্ট্রনের প্রবাহকে বলা হয় কারেন্ট ।কারেন্টের একক অ্যাম্পিয়ার সংক্ষেপে Amp বা A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
**ভোল্টেজ:- ইলেক্ট্রন গুলোকে স্থানচুত্য করার জন্য প্রয়োজনীয় চাপকে ভোল্টেজ বলা হয় । ভোল্টেজের একক ভোল্ট Volt বা V।
**রেজিস্টেন্স:- কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে কারেন্ট বা ভোল্টেজ চলাচলে যে বাধা প্রাপ্ত হয় তাই রেজিস্টেন্স, সার্কিটের মধ্যে রেজিস্টর ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনীয় বাধা দানের জন্য। রেজিস্টেন্সের একক ওহম(Ω)  দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
**এসি(AC): অলটারনেটিং করেন্ট।
**ডিসি(DC):ডাইরেক্ট কারেন্ট।
**ফ্রিকুয়েন্সি:- কোন পরিবর্তনশীল রাশি প্রতি সেকেন্ট যতগুলি সাইকেল সম্পন্ন করে তাকে ফ্রিকুয়েন্সি বলে ।
**পাওয়ার ফ্যাক্টর:- অল্টারনেটিং কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মধ্যবর্তী ফেইজ অ্যাংঙ্গেল এর Cosine মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে অথবা এসি সার্কিটের Active Power ও Apparent Power এর অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে ।
**করোনা কি:- যখন দুইটি কন্ডাক্টরের স্পেসিং  ব্যাসের তুলনায় বেশী অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি এসি ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয় তখন এক বিশেষ পর্যায়ে কন্ডাক্টরের চার পার্শের বাতাস আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইনসুলেশন স্ট্রেস ভেঙ্গে যায় । এই অবস্থায় কন্ডাক্টর  এর চারিদিকে হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রশ্মী দেখা দেয়, হিস হিস শব্দ হয় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় এই ঘটনাকেই করোনা বলা হয় ।
**স্কিন ইফেক্ট কি:- এসি বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহীর ভিতরে প্রবেশ না করে যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর উপরিতল দিয়ে প্রবাহিত হয় বা হওয়ার চেস্টা করে তাকে স্কিন ইফেক্ট বলে।
স্কিন ইফেক্ট তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :
*কন্ডাক্টর পদার্থের গুনাবলীর উপর ।
*কন্ডাক্টরের ব্যাসের উপর।
*ফ্রিকুয়েন্সির উপর।
**Puncture voltage:- যে ভোল্টেজে এ ইনসুলেটরের এর ইনসুলেসন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলতে পারে তাকে Puncture voltage বলে ।
**Flash over voltage:- যদি পরিবাহিতে ভোল্টেজ বাড়ানো হয় এবং তা বাতাসে নস্ট হয়ে যায় এবং প্রচন্ড বিদ্যুৎ জলকের সৃষ্টি হয় তখন এই ভোল্টেজকে Flash over voltage বলা হয় ।
**সেগ বলতে কি বুঝায়:- দুইটি টাওয়ার বা পোলের যেই বিন্দুতে তার টানা বা সংযোগ করা হয় সেই বিন্দু দুইটির সংযোজনকারী আনুভূমিক কাল্পনিক রেখা হতে তারের সর্বোচ্চ ঝুলে পড়া বিন্দু পর্যন্ত দুরত্বকে সেগ বলা হয় ।
**সেফটি ফেক্টর:- আলটিমেট বা Breaking stress বা Working stress এর অনুপাতকে সেফটি ফেক্টর বলে বলা হয় ।
**ত্রি ফেইজ মোটর উল্টা ঘূর্নণ পদ্ধতি কিভাবে করা হয়:- ত্রি ফেইজ মোটরের তিনটি ফেইজের যে কোন দুইটি ফেইজ পাল্টিয়ে দিলে মোটর উল্টা ঘুরবে ।
**ট্রান্সফরমার কি ধরনের ডিভাইস:- ট্রান্সফরমার  একটি ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ডিভাইস।
**ট্রান্সফরমার  ওয়েলের বাণিজ্যিক নাম কি:- পাইরাণল(pyranol)।
**স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারের কোন পাশে তারের প্যাচঁ সংখ্যা বেশি থাকে:- সেকেন্ডারিতে।
**ট্রান্সফরমারের ব্রীদারের কাজ কি:- শুস্ক বাতাস ট্যাংকে প্রবেশ করানো ট্রান্সফরমারের ব্রীদারের কাজ ।
**ব্রীদারে শুস্ক বাতাস পরিবহনের জন্য তথা আদ্রতা মুক্ত বাতাস পরিবহনের জন্য ব্রীদারে কি পদার্থ ব্যবহার করা হয়:- সিলিকা জেল ।
**সিলিকা জেল নস্ট হলে কি রং এ পরিণত হয়: – কাল ।
আজকে আপাতত এই টুকুতে থাক আবার সময় পেলে আরো কিছু সেয়ার করব………………ধন্যবাদ সবাইকে…………

ভোল্টেজ এবং কারেন্ট কি ?

By on ৮:০৬ PM

ভোল্টেজ এবং কারেন্ট কি ?

ভোল্টেজ কি ?






পরিবাহীর পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে । ভোল্টেজ এর প্রতীক হলো V (ভি) এবং এর একক হলো Volt(ভোল্ট) ।

ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter (ভোল্ট মিটার)

ভোল্ট মিটার সাধারণত যে দুই পয়েন্টের বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে হবে তার সাথে Parallel বা সমান্তরাল ভাবে কানেক্ট করতে হয় ।

ভোল্টেজ(V) = কারেন্ট(I) × রেজিস্ট্যান্স(R) 


কারেন্ট কি ?


পদার্থের মধ্যে অবস্থানকৃত মুক্ত ইলেকষ্ট্রন সমূহ নিদিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে ।

অথবা,

একটি পরিবাহী পদার্থের ভিতর দিয়ে চার্জ এর গতিকে কারেন্ট বলা হয় ।

কারেন্টের প্রতীক হলো = “ I ” .

কারেন্টের একক হলো = Ampere (A) .

পরিমাপের যন্ত্র হলো = Ampere meter বা Ammeter .

এমিটার সিরিজ কানেকশনে কানেক্ট করতে হয় ।

কারেন্ট প্রধানত তিন প্রকার :


১) এসি কারেন্ট

২) ডিসি কারেন্ট

৩) এডি কারেন্ট 

এসি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?


“এসি (AC)”- পূর্ন অর্থ হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current) । অর্থাৎ সময়ের সাথে যে কারেন্টের মান পরিবর্তীত হয় তাকে এসি কারেন্ট বলা হয় । বাসা বাড়ীতে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে যে বিদ্যুৎসরবরাহ করা হয় তা হচ্ছে এসি কারেন্ট ।

পরের চিত্রটিতে x অক্ষ বরাবর Time(সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current(কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে । চিত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখ বিভিন্ন সময়ে কারেন্টের মান বিভিন্ন হচ্ছে । অর্থাৎ সময়ের সাথে এর মান পরিবর্তীত হচ্ছে । তাই আমরা একে অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে থাকি ।

ডিসি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?

“ডিসি (DC)”- পূর্ন অর্থ হলো ডিরেক্ট কারেন্ট । অর্থাং সময়ের সাথে যে কারেন্টের মানের কোন পরিবর্তন হয় না , তাকে ডিসি কারেন্ট বলে । টর্চ লাইটে পাচ ভোল্টের ব্যাটারী যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে তা হল ডিসি কারেন্ট।

উপরের চিত্রটিতে x অক্ষ বরাবর Time(সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current(কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে । চিত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখ বিভিন্ন সময়ে কারেন্টের মান 1A অপরিবর্তীত আছে ।

অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে এর মান অপরিবর্তীত থাকে । তাই একে আমরা ডিসি কারেন্ট (Direct current) বলি ।

এডি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?

তামার তার দিয়ে তৈরী কয়েল থেকেই মুলত এডি কারেন্ট(Eddy Current) উৎপন্ন হয়ে থাকে । যেমন : ট্রান্সফরর্মার , মটর ইত্যাদি ।
এসি কারেন্ট যখন কোন কয়েলের ভিতর দিয়ে চলাচল করে, তখন এটি কয়েলের ভিতর এবং কয়েলের চারপাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ড (magnetic fields) তৈরি করে । এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড মূলত তারের চারিদিকে ফিতার মত জড়িয়ে থাকে । পরবর্তীতে এই ফিতার মত অসংখ্যক ম্যাগনেটিক ফিল্ড গুলো একত্র হয়ে একটি বড় লুপের সৃষ্টি করে ।

যদি কোন কারণ বসত এই লুপের কোন একটির কারেন্ট বেড়ে যায়, তাহলে এই কারেন্ট -এর আশেপাশের সমস্ত লুপের ম্যাগনেটিক ফিল্ড কে বাড়িয়ে দেয় । যার ফলে ভোল্টেজ তৈরী হয় । ভোল্টেজ উৎপন্ন হলে তো অবশ্যই ইলেকট্রনের ফ্লো হবে । আর ইলেকট্রনের ফ্লো হলেই কারেন্ট উৎপন্ন হবে । এই কারেন্টকেই বলা হয়ে থাকে এডি কারেন্ট । 

এডি কারেন্ট হলো এক প্রকার লস (Loss) । লস বলছি কারণ, এই কারেন্ট আমাদের কোন কাজে আসে না ।



রেজিস্ট্যান্স কি?

By on ৮:০৬ PM

                            রেজিস্ট্যান্স কি?



পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয়
তাকেরেজিস্ট্যান্স বলে। 


যে বস্তু রেজিস্ট্যান্স’এর ধর্ম অক্ষুন্ন রাখে তাকে রেজিষ্টর বলে । এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm (ওহম)।


রেজিস্টর এর সাংকেতিক চিহ্ন : 




রেজিস্টর দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে । নিচে কিছু প্রকার রেজিস্টর এর চিত্র দেওয়া হলো । 



কিছু কিছু রেজিস্টর আছে যাদের মান পরিবর্তন করা যায় । এদেরকে ভেরিয়াবেল রেজিস্টর (Variable Resistor বলে । এগুলো দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে । নিচে কিছু ভেরিয়াবেল রেজিষ্টর এর চিত্র দেওয়া হলো । 





এই রেজিষ্টর গুলো কিছু নির্দিষ্ট মান রয়েছে । কিন্তু এত সরু জিনিসের উপর মান লিখে রাখা সম্ভব নয় । তাই রেজিষ্টর এর মান কালার কোডের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । ভালো করে খেয়াল করে দেখ প্রত্যেকটি রেজিষ্টর এর উপর বিভিন্ন রঙের কিছু সরু সরু দাগ দেওয়া আছে । আসলে এই দাগ গুলোই এই সব রেজিষ্টর এর মান নির্দেশ করে । এই রঙিন দাগ গুলোকে রেজিষ্টর এর কালার কোড বলা হয়ে থাকে । 


রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় : 

এখন আমরা দেখবো কিভাবে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় করা যায় । 

সাধারনত দুটি পদ্ধতিতে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় করা যায় । 

১) কালার কোডের মাধ্যমে 

২) মিটারের মাধ্যমে 


কালার কোডের মাধ্যমে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় : 

আমরা আগেই জেনেছি , রেজিষ্টর এর উপর যে কালার দাগ দেওয়া থাকে, এই দাগ গুলোর রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু মান । এই মান গুলো মনে রাখার জন্য আমরা একটি লাইন মনে রাখবো । 

B B ROY Good Boy Very Good Worker. ( বি বি রই গুড বয় , ভেরি গুড ওয়ারকার )

এখানে ইংরেজী বড় হাতের লিখা গুলো (capital letter) পর্যায়ক্রমে কিছু রং নির্দেশ করছে । 


যেমন : 

B = Black = 0

B = Brown = 1

R = Red = 2

O = Orange = 3

Y = Yellow = 4

G = Green = 5

B = Blue = 6

V = Violet = 7

G = Grey = 8

W = White = 9


Tolerance : 

Gold = +/- 5%

Silver = +/- 10% 

কোন কালার না থাকলে টলারেন্স হবে = +/- 20% 



রেজিষ্টর এর কালার কোডের দিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখ । একটি কালার যুক্ত দাগ কে প্রথম তিনটি দাগ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে । এই সরিয়ে রাখা কালার ব্যান্ডটি কে টলারেন্স (Tolerance) বলে । এই টলারেন্স ব্যান্ড এর বিপরীত দিক থেকে কালার কোড গননা শুরু করতে হয় । টলারেন্স এর বিপরীত দিকের প্রথম কালারটিকে -"প্রথম কালার ব্যান্ড" , দ্বিতীয় কালারটিকে -"দ্বিতীয় কালার ব্যান্ড" , এবং তৃতীয় কালারটিকে -"তৃতীয় কালার ব্যান্ড" বলা হয় । সাধারণত বেশীরভাগ রেজিষ্টর গুলো চার -ব্যান্ডের হয়ে থাকে । এছাড়া কিছু কিছু পাঁচ - ব্যান্ডের রেজিষ্টর ও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । রেজিষ্টর কত ব্যান্ডের এটা কোন বিষয় নয় । মান নির্ণয়ের পদ্ধতি সব একই ।

মান নির্নয়ের ক্ষেত্রে (প্রথম কালারের এর মান) তারপর (দ্বিতীয় কালারের মান) তারপর (তৃতীয় কালারের মান যত হবে, ঠিক ততগুলো শূণ্য (0) বসাতে হবে । 



যেমন :
মনে কর কোন রেজিষ্টর এর গায়ে কালার সংখ্যা যথাক্রমে : Brown Black Red Gold 



রেজিষ্টর এর কালার কোড হতে আমরা জানি , 


Brown = 1


Black = 0


Red = 2


Gold = tolerance = +/-5%


অতএব মান = 1 0 00 +/-5%


এখানে যেহেতু প্রথম কালার Brown যার মান ১ তাই প্রথম ১ বসালাম । দ্বিতীয় কালার Black যার মান শূন্য (0) তাই 0 বসালাম । এবার দেখ তৃতীয় কালার Red যার মান হলো দুই (২) । তাহল দুইটি শূণ্য বসাতে হবে । তাহলে সম্পূর্ণ মান হলো = ১০০০ । 


রেজিষ্টর এর একক যেহেতু ওহম । তাই এর মান হলো = ১০০০ ওহম । (1000 Ω)






এই মান কে 1000 দিয়ে ভাগ করলে এর একক হবে = (1000 ÷ 1000) KΩ = 1KΩ বা (১ কিলোওহম) ।






টলারেন্স : 
রেজিষ্টর এর মান মূলত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তীত হয় । আর এই পরিবর্তনের মান কত টুকু পরিবর্তীত হতে পারে তা এই টলারেন্স এর মান হিসাব করে বের করা যায় ।
যেমন এখানে টলারেন্স কালার আছে Gold যার মান হরো +/-5% । আমরা রেজিষ্টর এর মান পেয়েছিলাম

১ কিলো ওহম এবং এই ১ কিলো ওহম এর ৫% হয় = (1 * 5 % ) = 0.05 ।


অতএব, 


1 + 0.05 = 1.05


1 - 0.05 = 0.95


সুতরাং এই ১ কিলো ওহম রেজিষ্টর এর মান ০.৯৫ থেকে ১.০৫ পর্যন্ত কমবেশী হতে পারে । 


নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো : - 



নিজের বাসার মাসিক Electricity Bill নিজেই বের করুন

By on ৮:০৪ PM

নিজের বাসার মাসিক Electricity Bill নিজেই বের করুন

নিজের বাসার মাসিক Electricity Bill কত হতে পারে ! এবার নিজেই বের করে ফেলি।
বাসাবাড়িতে বা কোন গ্রাহক যতটুক ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ব্যাবহার করে এনার্জি মিটার তা KWH(কিলো ওয়াট আওয়ার) এ পরিমাপ করে। 1 KWH = 1 unit. যার উপর ভিত্তি করে বিল আসে আর আমাদের পরিশোধ করতে হয়।
মাসিক Electric Bill বের করতে হলে আমাদের জানতে হবে,

i) লোডগুলোর (ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটার, টিভি, আইরন...ইত্যাদি)watt । watt সাধারনত লোডের গায়েই লেখা থাকে।

ii) লোডগুলো দিনে গড়ে কত সময় চলে। {সব বাদ দিলাম কিন্তু আমার মত কম্পিউটার পাগলাদের কম্পিউটার কত সময় চলে.........

iii) বিভিন্ন ধরনের লোডগুলো কতটি করে আছে।

iv) আপনার এলাকার পাওয়ার ডিসট্রিবিউটিং কোম্পানীর প্রতি ইউনিটের দাম (যা স্টেপভেদে আলাদা, যেমন ০-৭৫ ইউনিটের জন্য ৩.৩১/=, ৭৫-২০০, ২০০-৪০০ বা ৪০০-৭০০ প্রতি ইউনিটের দাম আলাদা), ডিমান্ড চার্জ, সারভিস চার্জ (যা আপনার বাসার পুরাতন ইলেকট্রিক বিলে আছে), ভ্যাট কত ℅।

আর মাস ৩০ দিনে। এখন দেখা যাক... [AA* এর জায়গায় লাইট/ফ্যান বা অন্যান্য লোডের watt বসিয়ে দিন]

AA* watt এর ৬ টি লাইটের লোড = AA* × ৬ × ঘন্টা = watt Hour

AA* watt এর ৪ টি ফ্যানের লোড = AA* × ৪ × ঘন্টা = watt Hour

AA* watt এর ২ টি কম্পিউটার লোড = AA* × ৬ × ঘন্টা = watt Hour

AA* watt এর ১ টি আইরনের লোড = AA* × ৬ × ঘন্টা = watt Hour

AA* watt এর ২ টি এসি লোড = AA* × ৬ × ঘন্টা = watt Hour

মোট = watt Hour

=(মোট watt Hour ÷ ১০০০ × ৩০দিন) ১ মাসে বাবহৃত Kilo Watt Hour

= KWH [১ মাসে বাবহৃত KWH]

= KWH [১ মাসে বাবহৃত KWH]× প্রতি ইউনিটের দাম

= টাকা [ এটাই আপনার মাসিক নিট বিল]

আর, ভ্যাট এর পরিমান হবেঃ
আপনার মাসিক নিট বিল × ℅ ভ্যাট = মোট ভ্যাট

ব্যাস, এখন শুধু আপনাকে : আপনার মাসিক নিট বিল + ডিমান্ড চার্জ + সারভিস চার্জ+ মোট ভ্যাট = Amount to be paid পেয়ে যাবেন।

বিষয় যখন বিদ্যুৎ

By on ৭:৩২ PM
                                     
                                বিষয় যখন  বিদ্যুৎ 





। বিদ্যুৎ কি? কত প্রকার এবং কি কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি এবং রূপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন বাস্তব কাজ সমাধা করে।
বিদ্যুৎ ২(দুই) প্রকার। (i) স্থির বিদ্যুৎ (ii) চল বিদ্যুৎ


২। কারেন্ট কি? কত প্রকার এবং কি কি?
উত্তরঃ পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ কোন নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। কারেন্টের প্রতীক I (আই) এবং একক Ampere (অ্যাম্পিয়ার), সংক্ষেপে ‘A’ লেখা হয় । কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম Ampere Meter (অ্যাম্পিয়ার মিটার)।
কারেন্ট ২(দুই) প্রকার। (i) AC (এসি)(Alternative Current) কারেন্ট (ii) DC (ডিসি) কারেন্ট (Direct Current)


৩। অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পরিবাহীর যে কোন অংশের মধ্য দিয়ে এক কুলাম্ব চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে। ১ কুলাম্ব = 628×1016 ইলেকট্রন চার্জ।


৪। ভোল্টেজ কি? ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পরিবাহির পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। ভোল্টজ এর প্রতীক V(ভি) এবং একক Volt ভোল্ট)। ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter(ভোল্ট মিটার)।
পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এর গুণফল হল ভোল্টেজ।
অর্থাৎ V = IR [ভোল্টেজ = কারেন্ট X রেজিস্ট্যান্স]


৫। রেজিস্ট্যান্স কি?
উত্তরঃ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। রেজিস্ট্যান্স’এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm (ওহম)।
১। Capacitance (ক্যাপাসিট্যান্স) কি? এর প্রতীক এবং একক কি?
উত্তরঃ ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্যে কোন বিভব পার্থক্য থাকলে প্লেটগুলো বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে (অর্থাৎ চার্জ ধরে রাখে)। ক্যাপাসিটরের এই ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে ক্যাপাসিট্যান্স (Capacitance) বলে। ক্যাপাসিট্যান্স এর প্রতীক C (সি) এবং এর একক F (Farad) বা µF (Micro Farad)। পরিমাপের যন্ত্র Ohm মিটার বা ক্যাপাসিট্যান্স মিটার ।


২। Inductance (ইন্ডাকট্যান্স) কি ? এর প্রতীক এবং একক কি?
উত্তরঃ এটি কয়েলের এমন একটি বিশেষ ধর্ম যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্টে-এর হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। ইন্ডাকট্যান্স’এর প্রতীক L এবং এর একক Henry ।


৩। Conductor (কন্ডাকটর) বা পরিবাহী কি?
উত্তরঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট চলাচল করতে পারে তাদের Conductor বা পরিবাহী বলে। যেমনঃ সোনা, রূপা, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম।


৪। Insulator (ইন্সুলেটর) বা অপরিবাহী কি?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সরাসরি কারেন্ট চলাচল করতে পারে না তাদের Insulator বা অপরিবাহী বলে । যেমনঃ প্লাষ্টিক, রাবার ইত্যাদি।


৫। Semi-Conductor (সেমি-কন্ডাকটর) বা অর্ধপরিবাহী কি?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বেশি নয় সামান্য পরিমানে বিদ্যুৎ চলাচল করে অর্থাৎ অবস্থা ভেদে কখনো বিদ্যুৎ চলাচল করে আবার চলাচল করেনা তাদের Semi–Conductor বা অর্ধপরিবাহী বলে। যেমনঃ জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।


১। Power (পাওয়ার) বা ক্ষমতা কি?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের হারকে বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power (পাওয়ার) বলে। সার্কিটের ভোল্টেজ ও এম্পিয়ার এর গুণফল হিসাবে Power (পাওয়ার) পাওয়া যায়। পাওয়ার-এর একক Watt (ওয়াট) বা Kilo Watt (কিলো ওয়াট) ।
অর্থাৎ P = VI [পাওয়ার = ভোল্টেজ X কারেন্ট]


২। Energy (এনার্জি) বা শক্তি কি?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power কোন সার্কিটে যত সময় কাজ করে পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের গুণফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা Energy বলে। Energy-রএকক Watt-hour বা Kilowatt-hour 
অর্থাৎ Energy, W=P×T [P = Power , T = Time] 


৩। বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক কি?
উত্তরঃ একাধিক সরল সার্কিট উপাদান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সার্কিট হয় তাকে বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলে।


৪। বৈদ্যুতিক সার্কিট কি? বৈদ্যুতিক সার্কিট কত প্রকার এবং কি কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ’এর উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র, ব্যবহারযন্ত্র, রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে সার্কিট বা বর্তনী বলে। 
সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে সার্কিট তিন প্রকার। যথাঃ
(i) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt)
(ii) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt)
(iii) মিশ্র সার্কিট (Mixed Ckt)


৫. বৈদ্যুতিক সার্কিটে কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকা আবশ্যক?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সার্কিটে নিচের পাঁচটি প্রয়োজনীয় উপাদান আবশ্যক। যথাঃ 
(i) উৎস (Source) যেমনঃ ব্যাটারী অথবা জেনারেটর।
(ii) পরিবাহী (Conductor) যেমনঃ তামা অথবা এলুমিনিয়াম তার।
(iii) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) যেমনঃ সুইচ।
(iv) ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device) যেমনঃ বাতি, পাখা।
(v) রক্ষন যন্ত্র (Productive device) যেমনঃ ফিউজ, ব্লেকার।


১। সার্কিট ডায়াগ্রাম কি?
উত্তরঃ সার্কিট ডায়াগ্রাম হল সার্কিটের বিভিন্ন উপকরনের চিহ্ন সম্বলিত এমন একটি চিত্র রূপ যা দেখে এর উপকরণগুলো কিভাবে পরস্পর যুক্ত রয়েছে তা বুঝা যায় এবং এদের মান সংক্ষেপে ডায়াগ্রামে উল্ল্যেখ থাকে।


২। সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক রেজিস্টর বা লোড একের পর এক যদি এমন ভাবে যুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একটি মাত্র পথ থাকে, তবে তাকে সিরিজ সার্কিট বলে।
সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টর’এর মধ্য দিয়ে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ I= I1+I2+I3+——–+In
(ii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি রেজিস্টার বা লোডের ভোল্টেজ ড্রপসমূহের যোগফল সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সমান। অর্থৎ V=V1+V2+V3+———+Vn
(iii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত রেজিস্টার বা লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সগুলোর যোগফল মোট রেজিস্ট্যান্স (সার্কিটের) সমান। অর্থাৎ R=R1+R2+R3+——–+Rn



৩। প্যারালাল সার্কিট কি? প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ একাধিক রেজিস্টর বা লোড প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বিদ্যমান থাকে তবে তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) প্যারালাল সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এর সমান। অর্থাৎ 1/R=1/R1+1/R2+1/R3+——–+1/Rn
(ii) প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য (সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানোমানের সমান। 


৩। সাইকেল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ একটি পরিবাহী একটি উত্তর মেরু এবং একটি দক্ষিন মেরুর মাঝখানে বৃত্তাকারে একটি পথ যদি একবার পরেক্রমন করে তবে একটি ভোল্টেজ তরঙ্গের সৃষ্টি হয় । এই তরঙ্গটিকে সাইকেল বলে।


৪। অল্টারনেশন কাহাকে বলে?
উত্তরঃ ভোল্টেজ তরঙ্গের অর্ধাংশকে অল্টারনেশন বলে।


৫। ফ্রিকুয়েন্সী (Frequency) কাহাকে বলে?
উত্তরঃ এক সেকেন্ড সময়ে যতগুলো সাইকেল সম্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকুয়েন্সী বলে।
এর প্রতীক f এবং একক সাইকেল/সেকেন্ড (C/S)


৬। পিরিয়ড (Period) কাহাকে বলে?
উত্তরঃ এক সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় তাকে পিরিয়ড বলে । এর প্রতীক T এবং T=1/f.

Electrical Engineering Fundamentals

By on ৭:২৬ PM
                                Electrical Engineering Fundamentals

.ইলেকট্রিসিটির আর্থ কি ?
    উত্তরঃ  বিদুৎ
 বিদুৎ কত প্রকার ও কি কি?
    উত্তরঃ ২ প্রকার ,
               ১।স্থীর  বিদুৎ,২।চল  বিদুৎ